রাজন-রাকিব হত্যার রায় আগামীকাল
প্রতিক্ষণ ডেস্ক
সিলেটে শিশু সামিউল আলম রাজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ১৩ আসামির সাজা হবে কি না- তা জানা যাবে আগামী কাল ৮ নভেম্বর।
এ মামলায় দুই পক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে ২৭ অক্টোবর সিলেটের মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধা রায়ের এই দিন ঠিক করে দেন। আগের দিন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা গ্রেপ্তার ১১ আসামির মধ্যে নয় জনের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।
সিলেটের পিপি মফুর আলী সাংবাদিকদের বলেন, “মঙ্গলবার আদালতে গ্রেপ্তার বাকি দুজন ও পলাতক দুজনের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিচারক ৮ নভেম্বর রায়ের দিন ঠিক করেন।”
উল্লেখ্য, গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চুরির অভিযোগ তুলে ১৩ বছরের শিশু রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী তোলপাড় ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
ঘটনার দেড় মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে ১৬ অগাস্ট ১৩ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুরঞ্জিত তালুকদার।
গত ২২ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে এই হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়। রাজন হত্যার পর ১০ জুলাই সৌদি আরব পালিয়ে যান মূল অভিযুক্ত কামরুল। গত ১৫ অক্টোবর তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে পরদিন আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। কামরুলকে নিয়ে এই মামলার আসামিদের মধ্যে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পলাতক রয়েছেন কামরুলের আরেক ভাইসহ দুজন। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশিত হয়েছে।
অন্যদিকে খুলনায় মলদ্বার দিয়ে বাতাস ঢুকিয়ে শিশু রাকিব হাওলাদার হত্যা মামলার রায়ও আগামীকাল ঘোষণা করা হবে। রোববার যুক্তিতর্ক শেষে খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক দিলরুবা সুলতানা রায় ঘোষণার এই দিন রাখেন বলে জানান বাদীপক্ষের আইনজীবী বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা খুলনার সমন্বয়কারী মোমিনুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, গত ৩ অগাস্ট বিকালে শহরের টুটপাড়া কবরখানা এলাকায় শরীফ মটর্সে কম্প্রেসর মেশিনের সাহায্যে ১২ বছরের শিশু রাকিবের মলদ্বার দিয়ে বাতাস ঢুকিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরপরই সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শরীফ মটর্সের মালিক শরীফ ও মিন্টু মিয়াকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা। পরে শরীফের মা বিউটি বেগমকেও পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের পর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিন আসামি। এছাড়া চার সাক্ষী নাদিম হাসান শাহীন, রবিউল ইসলাম, সুমন ও সেলিম হাওলাদারও আদালতে জবানবন্দি দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার এসআই কাজী মোস্তাক আহমেদ ২৫ অগাস্ট এজাহারভুক্ত তিন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
প্রতিক্ষণ/এডি/বিএি
প্রতিক্ষণ/এডি/বিএ